‘শিক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ জনগণের ন্যায্য সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি’

সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল:

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী, সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ বলেছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম একটি আলোকিত জনপদ। তবে স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও এই জনপদ অন্ধকারে রয়ে গেছে। কারণ এই জনপদে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাঁরা তাদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন বা আছেন। কিন্তু কোন সময় দক্ষিণ চট্টগ্রামের জন্য এই জনপদকে আলোকিত করার জন্য কোন সময় কোথাও আওয়াজ দেন নাই, চেষ্টাও করেন নাই, যা আমাদের জন্য দুঃখজনক। সমাজকে আলোকিত করার জন্য যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা দরকার তা কোনটাই হয়নি এই দক্ষিণ চট্টগ্রামে। তাই আমি চিন্তা করছি এই অবহেলিত জনপদের সাংসদ হতে। যাতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের নাভি হিসেবে পরিচিত চন্দনাইশ সাতকানিয়ার উন্নয়ন ঘটাতে পারি। আমি যদি নির্বাচিত হই চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক এলাকাকে একটি মডেল আসনে রূপান্তর করব ইনশাআল্লাহ। সম্প্রতি চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসদরস্থ “মেজবান বাড়ি” রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স উ ম আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, দেশের সংবিধান রক্ষার জন্য আমরা নির্বাচনে এসেছি। বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রগুলোর যখন ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি তখন আমরা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের কথা চিন্তা করে নির্বাচনে এসেছি। কে কি বলছে সে বিষয় পরে। “রাষ্ট্র আমাদের”- সেই বিষয়টা আমরা চিন্তা করেই নির্বাচনে এসেছি। আমরা এখন নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, নির্বাচনে যাতে জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে পারে। জনগনের ন্যায্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে স উ ম আবদুস সামাদ আরো বলেন, আমি নির্বাচনে আমি অংশ গ্রহণ করেছি, একটি পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে। এখানে যারা বিগত দিনে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান যারা ছিলেন, তাঁরা এই অঞ্চলের কথা কোথাও বলেনি। সেই কথা বলার জায়গায় জবাবদিহিতামূলক কাজ করতে চেষ্টা করে যাব। এই জায়গায় আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ ও আপনাদের গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা আশা করছি।

মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ফ্রন্ট-কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল , যুগ্ম মহাসচিব মো. আব্দুর রহিম, রেজাউল করিম তালুকদার, অধ্যাপক আব্দুন নুর, কেন্দ্রীয় সহ-প্রকাশনা সচিব মুহাম্মদ নুরুল্লাহ রায়হান খান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব ফয়েজ উল্লাহ খতিবী, ইসলামী ফ্রন্ট নেতা মুখতার আহমদ শিবলী, ডা. কলিম উদ্দিন, আজিজুর রহমান, এডভোকেট মুজাম্মেল হক, মাওলানা মাসুম রেজভি, মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, এম এ মতিন, আবু তালেব মঈনি, আখতার কামাল, যুবনেতা মাওলানা মামুন উদ্দীন সিদ্দিকী, মাওলানা দিদারুল আলম, ওসমান রেজা প্রমুখ।